রাজনীতি: খুলনা মহানগর বিএনপির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
কমিটি অনুমোদনের কথা জানানো হয়।এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে এস এম শফিকুল আলম মনাকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে শফিকুল আলম তুহিনকে।কমিটিতে যারা আছেন- যুগ্ম আহবায়ক
তরিকুল ইসলাম জহির, কাজী মোঃ রাশেদ, স. ম. আ রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া,
বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল, ফকরুল আলম, শরিফ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ ঈশ্বরদীতে ‘গুম হওয়া’ মনিরুল ১৫ বছর পর স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। মামাতো ভাইদের সাথে মনিরুল ইসলাম ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে যায়।
তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। মামাতো ভাইয়েরা বাড়ি ফিরলেও সে ঢাকাতেই থেকে যায়। হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মনিরুল।
বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও পরিবার তার কোনও সন্ধান পায়নি। দোষ পড়ে পড়ে মামাতো ভাইদের ওপর। গুমের মামলায় জেলও খাটেন মামাতো ভাইয়েরা।
সেই গুম হওয়া মনিরুল দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাও একা আসেননি, সাথে এসেছে স্ত্রী ও তিন সন্তান।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের বাঘহাছলা গ্রামের বালিয়াডাঙায় মনিরুল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হাজির হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মনিরুলের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাঘহাছলা গ্রামের আহেদ আলীর ছেলে মনিরুল ২০০৭ সালে মামাতো দুই ভাই আমিরুল বিশ্বাস (৪০) ও আবদুল মতিন বিশ্বাসের (৩৫) সাথে রাজমিস্ত্রির কাজে ঢাকায় যায়।
আমিরুল ও মতিন ছয়মাস পর বাড়ি এলেও মনিরুল ঢাকাতেই থেকে যায়। মনিরুল বিয়ে করে ঢাকায় ঘর-সংসার শুরু করে। কাজ না করায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে। এ পরিস্থিতিতে মনিরুল কুমিল্লায় আত্মগোপন করে।
সে সময় মনিরুলের পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পাওয়ায় মামাতো ভাইদের ওপর দোষ চাপে। মনিরুলের বাবা আহেদ আলী প্রায় ১০ বছর পর ২০১৭ সালে ছেলেকে গুমের অভিযোগ এনে আমিরুল ও মতিনের নামে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে গুমের ‘মোটিভ’ না পেয়ে মামলা নেওয়া থেকে বিরত থাকে। পরে পাবনা আদালতে মামলা করা হয়। এ মামলায় আমিরুল ও মতিন প্রায় দেড় মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পান। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।