ইউক্রেন থেকে এখন নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে চীন। ইউক্রেনে চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, প্রথম দলটি সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চলে গেছে।
চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, কিয়েভ থেকে মলদোভা যাচ্ছেন চীনা শিক্ষার্থী। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বেশ কিছু কারণে চীন তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে।
তার মধ্যে সম্ভাব্য একটি কারণ হলো বেইজিং প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল, নিজ নাগরিকদের সরালে রাশিয়া বিব্রত হতে পারে। আরেকটি কারণ, চীন হয়তো ভেবেছিল যে
রাশিয়া খুব দ্রুত ইউক্রেন দখলে নেবে। তাদের লোকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। অন্য আরেকটি উদ্বেগজনক কারণ, চীন মনে করছে, রাশিয়ার আক্রমণ আরও তীব্র হবে।
এর একদিন আগে ইউক্রেন থেকে চীনা নাগরিকদের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিল চীন। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি খুব অনিরাপদ। এ পরিস্থিতিতে
নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া বন্ধ করেছে চীন। চীনা রাষ্ট্রদূত ফ্যান জিয়ানরং বলেন, ‘ইউক্রেনের পরিবেশ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এখানে থাকতে হবে।’এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা
এড়াতে সম্ভবত চীন ইউক্রেন আক্রমণে রাশিয়াকে তেমন সহযোগিতা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা। তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি)
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চীন যদি ইউক্রেনে রুশ হামলায় সমর্থন দেয়, তাহলে দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশটির সুনাম নষ্ট হবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা। এদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ান বিমান নিজেদের আকাশপথ নিষিদ্ধ করে।
পাল্টা ব্যবস্থা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, কানাডাসহ ৩৬টি দেশের এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে রাশিয়া। যুদ্ধবিরতিতে আসতে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। দুই দেশকেই দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে হচ্ছে।