রাজনীতি: রাজধানীর মুগদা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সাত নেতাকর্মীর দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য ২৯ নেতাকর্মীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা
হলেন খায়রুল, মুক্তার, ওয়াসিম, স্বাধীন, রুবেল, নবী হোসেন ও কামাল।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ রাজধানীর মুগদা থানা এলাকায় সাধারণ লোকজন লক্ষ্য
ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ১৯ মার্চ রাজধানীর মুগদা থানায় উপ-পরিদর্শক হামিদ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা
করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ৩৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক দুলাল চন্দ্র ভৌমিক। এ মামলার বিচার চলাকালীন ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে।
আর পড়ুনঃপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরোধী পক্ষের উত্থাপন করা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।
দেশটির সংবিধানের ৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে এটি অবৈধ ঘোষণা করে প্রস্তাবটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ইমরান খান জয়ী হবেন কি না, সে প্রশ্নে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোট ছিল রোববার।
এদিন দুপুরে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি তা খারিজ করে দেন। ব্যাপারটিকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘অসাংবিধানিক’ বলে। ষড়যন্ত্রের কারণে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাশিম সুরি।
এরপরই অধিবেশন মুলতবি করেন তিনি। এক পর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এর আগে জাতীয় পরিষদের অধিবেশননের আগে সকালেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল। তবে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি। এরপরই অধিবেশনের তারিখ পেছায়। নিম্নকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি।