চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত ঢাকাই সিনেমার নায়ক সোহেল চৌধুরীর হ’ত্যা মা’মলার চার্জশিটভুক্ত আ’সামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রে’ফতার করেছে র্যাব।
রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেনে থাকেন সোহেল হ’ত্যার এ অন্যতম আ’সামি। তাকে গ্রে’ফতারের সময় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে দেশি-বিদেশি ম’দের বোতল পাওয়া গেছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, অ’ভিযুক্ত আশিষ রায়ের বাসায় বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশি ম’দের প্রচুর বোতল পাওয়া গেছে। দামি দামি এসব মদের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে
আশিষ বাসায় মিনি বার গড়ে তুলেছেন। তার এই মিনি বার থেকে প্রায় ১৯-২০টি দেশী-বিদেশি নানা ব্র্যা’ন্ডের মদের বোতল জ’ব্দ করা হয়েছে। নিজের মিনি বারে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে
নিয়মিত মদের আসর বসাতেন গ্রে’প্তার আশিষ। এছাড়া তার মিনি বারে শিশা সেবনের নানা উপকরণও পাওয়া গেছে বলে র্যাবের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে আশিষ রায়কে
তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি চৌকশ দল। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন র্যাবের এই কমান্ডার। তিনি বলেন, আমাদের কাছে গো’য়েন্দা তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাসাটিতে অভিযান চালানো হয়। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এছাড়া অভিযানে থাকা র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আশিষ রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার বাসায় সার্চ করা হচ্ছে। অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করা হবে। দীর্ঘ ২৪ বছর আগে চাঞ্চল্যকর এ হ’ত্যা মা’মলার প’লাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আ’সামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গু’লি করে হ’ত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মা’মলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশ ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে অ’ভিযোগপত্র দেয়। এ মা’মলায় কা’রাগারে আছেন তারিক সাঈদ মামুন ও হারুন অর রশীদ। আর প’লাতক রয়েছেন আ’সামি আজিজ মোহাম্মদ ভাই, আশিষ রায় চৌধুরী, সানজিদুল হাসান ইমন ও সেলিম খান।