বিনোদন: ২৪ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও অভিযোগপত্রের ১ নম্বর
আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে
৯টা থেকে অভিযান চালিয়ে গুলশানের পিং সিটির পাশে ১০৭ নম্বর রোডের নং-২৫বি নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাট-এ-১ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তার কাছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আশিষ রায় চৌধুরী রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় আশিষ রায়ের বাড়ি থেকে ১৫ থেকে ২০ বোতল মদ ও সিসা জব্দ করা হয়েছে। র্যাব-১০ ও সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা
অভিযান পরিচালনা করেছে। এর আগে ২০ মার্চ সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য ২ আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান।
উচ্চ আদালতের আদেশে দীর্ঘদিন এ মামলার বিচার কাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। প্রত্যাহারের সেই আদেশসহ মামলার নথি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে আসে। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী বিয়ে করেন ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতিকে। বিয়ের কিছু দিন পর তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সোহেল চৌধুরী। জড়িয়ে পড়েন নেশার জগতে। সেই অন্ধকার জগতের অপরাধীদের সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের রেশ ধরেই খুন হন সোহেল চৌধুরী।
বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম বেপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে যাদের নাম রয়েছে: ডিবির দাখিল করা অভিযোগ পত্রে আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীর নাম রয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর ২ বছর পর মামলাটির বিচার নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। এরপরই আবার সেই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।