সারাদেশ: আমার ভাই মাকে বলে গেছে, তুমি বেশি করে ইফতার বানাও, আমি এসে খাবো। কিন্তু আর ফিরে আসেনি আমার ভাই।
মাদক নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের জেরে খুন হওয়া কুমিল্লার সাংবাদিক মহিউদ্দিনের ছোটবোন সারমিন আক্তার নিশা যমুনার
ক্যামেরাকে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন কথাগুলো। তাদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে মাদক কারবারি রাজু গ্যাং হত্যা করেছে তাকে। মাদকের
বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকাটাই কাল হলো তার জীবনের। পরিবারের বড় ছেলে মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে হারিয়ে শোকে পাথর অসুস্থ পিতা সাবেক
পুলিশের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, শখের বশে স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করতো তার ছেলে। ঈদের পরই রাজশাহীতে
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে চাকরিতে যোগ দেয়ার কথা ছিল তার। এর আগেই দুর্বৃত্তের গুলি তাকে পৃথিবীর বুক থেকে সরিয়ে দিলো। মহিউদ্দিনের সঙ্গে থাকা
প্রত্যক্ষদর্শী পলাশের দাবি, তার সামনেই রাজু গ্যাংয়ের লোকেরা একাধিক গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে নাঈমকে। একটি দোকানে বসে মহিউদ্দিন একজনের সাথে কথা বলছিলেন, এরই মধ্যে একজন তাকে খবর দেয়, সাংবাদিককে মারার জন্য ৩০-৪০ জন লোক আসছে। এরই মধ্যে একদল লোক এসে মহিউদ্দিনকে অনবরত গুলি করতে থাকে।
স্থানীয়রা বলছেন, সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল মহিউদ্দিনের। আর ঘটনার দিন মাদকের বড় একটি চালান ধরিয়ে দেয়ার কথা ছিলো তার। সে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও খবর দিয়ে সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিল সে।
পুলিশের দাবি মহিউদ্দিনকে বাংলাদেশ-ভারত জিরো পয়েন্টে মারা হয়েছে। পরে বিজিবি তার মৃতদেহ এনে স্থানীয়দের হাতে তুলে দেন। এ বিষয়ে রাজুসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন, বুড়িচং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন।