সংবাদ: ফেনীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা স্বামী কাউসার আলম তৈমুরের (৪৫) শরীরে তার স্ত্রী গরম পানি ঢেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার ৬ দিন পর আজ রোববার সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৈমুরের স্ত্রী খাদিজা বিনতে শামস রুপাকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তৈমুর ফেনী শহরের শহীদ সেলিনা পারভিন সড়কের (নাজির রোড) আবু তৈয়ব চৌধুরীর ছেলে ও ফেনীর ফ্রেন্ডশীপ ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিভাবান সাবেক খেলোয়াড়।
নিহতের ছোট ভাই তানজুর চৌধুরী এই ব্যাপারে ফেনী মডেল থানায় শনিবার (১৬ এপ্রিল) মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তার ভাই ও ভাবীর সাথে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল।
গত ১১ এপ্রিল সকাল ৬টার দিকে চিৎকার শুনে তারা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় গরম পানিতে তার ভাইয়ের শরীর ঝলসে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাকে প্রথমে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তার মুত্যু হয়। তৈমুরের শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার স্ত্রী রুপা। গ্রেপ্তারের আগে রুপা জানান, তাকে ফাঁসাতে অন্য কেউ এ চক্রান্ত করছে। সেদিন সেহরী খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। তার গায়ে কিভাবে গরম পানি পড়েছে তিনি তা জানেন না।
এ ঘটনায় তৈমুরের বন্ধু (৯৪ ব্যাচ) ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ফেনীর সাবেক ক্রিকেটার কাউসার আলম তৈমুর আমাদের ৯৪ ইয়ান বন্ধু। রমজানের সেহরি খেয়ে ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী রুপা গরম পানি ঢেলে জ্বলসে দেয় পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর আগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত কাগজে টিপসই সহ সাইন করে যায়। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় তৈমুরের স্ত্রী রুপাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৃত্যুর আগে তৈমুরের লেখা ও সাক্ষর করা একটি চিরকুটে ঘটনা সম্পর্কে লিখে গেছেন তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।