রাজধানীর দুই আঞ্চলিক অফিসে জমা দেওয়া আবেদনের বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্সে কয়েকজন কর্মচারীর সহযোগিতায় গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঘুস লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। এসময় ঘুস নেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। সোমবার (১৮ এপ্রিল) আগাঁরগাওয়ের পাসপোর্ট অফিসের
প্রধান কার্যালয় এবং উত্তরার ই-পাসপোর্ট কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার ও সাহিদুল রহমানের সমন্বয়ে তিন সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম। এসময় তারা অভিযোগের সত্যতা পান এবং মোবাইল জব্দ করেন।
জানা গেছে, দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্যতা উদঘাটনের জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য জব্দ করেন।
এসময় বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্সে কর্মরত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে দালাল বা দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের নিয়মিত যোগযোগ ও আর্থিক লেনদেনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে দুর্নীতির অর্থ লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদকের টিম।
দুদকের টিম সদস্যরা জানান, অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ যাচাইপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এদিন দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ১১টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। যার মধ্যে চারটি ছিল অভিযান। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সাতটি দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।