পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার থেকে। চাঁদের ওপর নির্ভর করে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
এ উপলক্ষে ঢাকা নগরীতে বসবাসকারী জনসংখ্যার বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামে চলে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপন করা। মূলত গত বুধবার থেকে মানুষের গ্রামে ফেরা শুরু হয়েছে।
গত এই চার দিনে ট্রেন, বাস, লঞ্চ, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে ঢাকার রাস্তা এখন অনেকটাই কার্যত ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
আজ ও আগামীকাল একবারেই ফাঁকা হয়ে যাবে চিরচেনা এই ব্যস্ত নগরী। আজ শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মূল সড়কের গণপরিবহনে যাত্রীর চাপ কমে গেছে। সাধারণ সময়ের মতো ব্যস্ততম রামপুরা,
বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড, ফার্মগেট, মহাখালী, গাবতলী, আসাদ গেট, মিরপুর, পল্টন মোড়, শাহবাগ, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, মতিঝিল, কাকরাইল এমনকি মৌচাকেও চিরচেনা যানজট নেই। যেখানে আগে এক গন্তব্য থেকে
অন্য গন্তব্যে যেতে দুই ঘণ্টা লাগত। সেখানে গত দুই দিন ধরে ৩০ মিনিটে যাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বাসচালক ও তার সহযোগীরা। সদরঘাট থেকে-উত্তরা যাতায়াতকারী ভিক্টর পরিবহনের জসীম উদ্দিন নামের এক হেলপার বলেন, দুই দিন ধরে আগের মতো যাত্রী হয় না। তবে রাস্তায় তেমন যানজট নেই। আগে যে পথ দুই থেকে তিনটা ঘণ্টা লাগত এখন আধাঘণ্টায় যাওয়া যাচ্ছে। তুরাগ পরিবহনটি সায়েদাবাদ থেকে গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশনে যাতায়াত করে।
এই পরিবহনের লিয়াকত নামের এক চালক জানান, এখন জ্যাম নাই। যাত্রীও নেই আগের মতো। এভাবে চালিয়ে পোষাবে না। এদিকে রিকশায়ও যাত্রী কমেছে। তবে রিকশা ভাড়া একটু বাড়ানোর জন্য তাদের আয় কমেনি বলে জানান একাধিক রিকশাচালক। শাহজাদপুরের সুরুজ আলী নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘মানুষ গ্রামে চলি যাওয়াতে আগের চেয়ে যাত্রী কমেছে। তবে ভাড়া ঈদ উপলক্ষে বলে-কয়ে একটু বেশি নিচ্ছি। তাই ইনকাম আগের মতোই রয়ে গেছে। ‘
অন্যদিকে রাজধানীর কিছু এলাকার ভেতরে সড়কে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোও শুক্রবার থেকে আগামী ৪ মে পর্যন্ত স্থানভেদে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে। তবে ফুটপাথে ও কিছু বিপণিবিতানে এখনো ক্রেতাদের ভিড় আছে। যারা ঢাকায় ঈদ করছে মূলত তারাই এখনো কেনাকাটায় ব্যস্ত। এ ছাড়া অনেকে ঈদের আগে কেনাকাটার সময় পায়নি, তারাও এখন সময় পেয়ে কেনাকাটা করছে।