দেশজুড়ে: বেশকিছু দিন ধরেই দেশের চাঞ্চল্যকর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের হস্তক্ষেপ। এতে ভারতের সমর্থন চাওয়ার
ব্যাপারে চলছে নানামুখী আলোচনা৷ সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ড. জাফরুল্লাহ। তিনি এসব বিষয় থেকে সাবধান থাকতে বললেন এবং শরণার্থীদের নিয়ে দিলেন নতুন তথ্য!
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর, আমরা ভারতের সাহায্য চেয়েছিলাম। তারা আমাদের প্রতি খুব আন্তরিক। ১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে
বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানও রয়েছে ব্যাপক। তবে এসবের পিছনে নিছক ভালােবাসা বা সহানুভূতির অনুভূতিই যে প্রধান ছিল একথা সত্যি নয়।
এর পিছনে ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিষয়টিও অনেক ক্ষেত্রে জড়িত ছিল, যা ভারতকে যু’দ্ধে অংশগ্রহণ করতে ত্বরিত করেছিল। মােটকথা ভারত সরকারের নীতির কিছু স্বার্থবাদী দিক থাকলেও এগুলাে ছিল বৈদেশিক নীতিরই একটি অংশ। কেননা তাদের ঠা’ন্ডা মাথার হ’ত্যাকাণ্ড জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছিল।
তারা প্রায় ১৫/১৬ লাখ বাংলাদেশীকে হ’ত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অ’ভ্যন্তরেও নানা প্রশ্ন, সন্দেহ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়। যেভাবেই আমরা বিষয়টি বিশ্নেষণ করি না কেন তাতে নৃশংসতার প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। তবে দেশে কিভাবে ওই খু’নিরা রাষ্ট্রীয় পদক পায় আমার জানা নেই। শুধু তাই নয়,
আমরা দেখেছি, র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের কাছে ধরনা দিচ্ছেন সরকার। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে যখন কথা বলা দরকার ছিল, তখন কথা বলেনি তারা। এসময় তিনি বলেন, আমাদের থেকে ভারত অনেক কিছু গোপন করে এসেছে এবং তারা আমাদেরকে কন্ট্রলও করে এসেছে।
আগে যারা মারা গেছে তারা খাওয়ার অভাবে মারা গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এতোটাই ভালো এবং উন্নত যার কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশ এবং দেশের বাইরে অনেক শিক্ষিত লোক আছে যাদের নিয়ে আমরা সুখে শান্তিতে থাকতে পারি। তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতকে যতই বন্ধু ভাবি না কেন, ভারতে মুসলিম ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপর যে অ’ন্যায়, অত্যাচার করছে তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। শুধু আমরা কথা বলি না বলে তারা এমন অ’ন্যায় করতে পারেছে। আমরা কথা বললে এমন আচারণ তারা করতে পারতো না।