সংবাদ: লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর কর্মকারের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও গালমন্দের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন লিটনকে আটকের
পর থানায় নিয়ে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২ মে) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ ঘটনা ঘটেছে। সমীর কর্মকার জানিয়েছেন, লিটন তার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।
ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ীদের অনুরোধে আমি অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এদিকে রোববার (১ মে) রাতে ঢাকা পোস্টে লক্ষ্মীপুরে
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চাইলেন আ.লীগ নেতা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে স্থানীয়ভাবে তোলপাড় হয়। চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, লিটনকে থানা নিয়ে আসা হয়।
ব্যবসায়ী সমীর লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন। পরে লিটনকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। সমীর লোকনাথ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ও সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা লিটন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরিচয় দিয়ে আসছেন। রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা লিটন
প্রকাশ্যে গালমন্দ করে সমিরের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ সুপার (এসপি) ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
সমীর কর্মকার বলেন, বিকেলে তার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন লিটন আসেন। এসময় ম্যানেজার ও কয়েকজন ক্রেতা ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগের তিনি (লিটন) গালমন্দ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমার প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় তার অবস্থান ও হু’মকির ঘটনা সংরক্ষিত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেন, সমীর আমার জন্য বাহকের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এটা কীসের, কী জন্যে পাঠিয়েছে তা জানতে তার দোকানে গিয়ে গালমন্দ করেছিলাম। এটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে।