রাজনীতি: চিকিৎসার জন্য ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিম থাইল্যান্ড গিয়েছেন। গত শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে
তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ড যান। জানা গেছে, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আগামী ৬ মে তিনি দেশে ফিরবেন।
হাজী মোহাম্মদ সেলিমের একান্ত সচিব মহিউদ্দিন মাহমুদ বেলাল বলেন, ‘তিনি চিকিৎসকের পরামর্শেই বিদেশ গেছেন। ৬ মের মধ্যেই তাঁকে দেশে দেখতে পাবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।
তিনি আইনের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল। ’হাজী সেলিমের ছেলে ইফরান সেলিম বলেন, ‘আমার বাবা আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত সৈনিক। বিএনপির আমলে হামলা, মামলা,
নির্যাতনের শিকার হয়ে একাধিকবার জেলও খেটেছেন। পুরান ঢাকার সেই জনপ্রিয় নেতা দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গিয়েছেন। দুদিনের মধ্যেই তিনি চলে আসবেন। ’
এ বিষয়ে হাজী সেলিমের আইনজীবী বলেছেন, তিনি ঈদের পরে ‘সারেন্ডার’ করে আপিল বিভাগে নিয়মিত আপিল করবেন। সরকারের পক্ষ হাজী সেলিমের বিদেশ যাওয়া সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মূলধারার সংবাদপত্র “বেনার”কে বলেন, সরকার তাঁর বিদেশ সফরের বিষয়ে অবগত নয়।দিনতারিখ মনে করতে না পারলেও হাজী সেলিম আমার অফিসে এসেছিলেন এবং আমাকে জানান যে, তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়েছেন কিনা, এটা জানা নেই,
এদিকে অনেকে দাবি করেছে, হাজী সেলিমের একার পক্ষে দেশ পার হওয়া সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এর পিছনে বড় কারোর ইন্দন রয়েছে। যার ফলে সে অতি সহজে দেশত্যাগ করতে পেরেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজী সেলিমের পরিবারের একজন সদস্য বলেন, ‘তিনি দেশ ছেড়ে বেশি দিন দূরে থাকার মতো মানুষ নন। তাঁর অনেক ব্যবসা, বাণিজ্যের খোঁজ রাখতে হয়। কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তিনি করেছেন। তিনি দেশে না থাকলে সবার জন্যই সমস্যা। ’