ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, হাতিরঝিল, রামপুরা ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
অধিকাংশ ঘটনায় অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগের চেয়ে ঈদে চুরি কমেছে বলেও দাবি পুলিশের।
পুলিশের দাবি, ঈদের ছুটিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর আওতাধীন এলাকায় ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনায় কেউ কেউ থানার শরণাপন্ন হলেও বেশিরভাগই অভিযোগ করেননি। এতে অনেক ঘটনা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
ডিএমপির যেসব এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। বুধবার (৪ মে) ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিএমপি আগে থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ায় এ বছর ঈদের ছুটিতে চুরি-ছিনতাই বাড়েনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গেলো রমজানে ডিএমপির অভিযানে প্রায় দুই শতাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বড় কোনও ইনসিডেন্ট নেই।
এর ধারাবাহিকতায় ঈদের ছুটিতে বাসা-বাড়িতে চুরি কিংবা ছিনতাইয়ের ঘটনা এবার অনেক কমানো সম্ভব হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘ঈদের ছুটিতে ডিএমপির অন্তত ৫০টি থানার প্রতিটিতে ১০টি করে মোবাইল টিম টহল দিচ্ছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা একটি চেইনের মতো কাজ করে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে চোররা কোনও বাসাবাড়িকে টা’র্গেট করে। আবার মোটরসাইকেলে থাকা ছি’নতাইকারীরা টার্গেট করে রিকশার যাত্রীদের। বাসাবাড়ির ক্ষেত্রে একটি দল আগে পর্যবেক্ষণ করে। আরেকটি দল বাসায় ঢুকে চুরির কাজ করে।’
কারও বাসায় চুরি বা কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন ডিএমপির অপরাধ ও অপারেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, ‘পুলিশ অবগত না হলে অপরাধীর তথ্য পাওয়া কিংবা পরে তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। তাই যারাই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন তারা যেন থানায় অভিযোগ করেন।’