দীর্ঘ আট বছর পর আবারও সাংগঠনিক জেলা ময়মনসিংহ উত্তরে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার এ কে এম এনায়েত উল্লাহ
কালামকে আহ্বায়ক ও মোতাহার হোসেন তালুকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৬৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে এনায়েত উল্লাহ গত কয়েক বছর ধরে দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় এবং মোতাহার সদ্য বিলুপ্ত
কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন বলে জানান স্থানীয় নেতারা। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে খুররম খান চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে উত্তর জেলা কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে তিনি মারা যান।
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে অন্যান্য জেলা কমিটির মতো ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কমিটিও ভেঙে দেয় বিএনপি। এরপর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ছয় বছরেও সম্মেলন করে নতুন কমিটি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়মনসিংহ উত্তর জেলার নেতারা বলেন, খুররম খান চৌধুরী মৃত্যু হলে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া জোরালো হয়। এই অবস্থায় নতুন কমিটিতে সভাপতি বা আহ্বায়ক হিসেবে আলোচনায় ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল কবীর শাহীন, শাহ শহীদ সরোয়ার এবং ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন।
এ ছাড়া আলোচনায় ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, আবুল বাশার আকন্দ ও আহমেদ তায়েবুর রহমান। আহ্বায়ক হিসেবে তাদের কাউকে বিবেচনায় না নিয়ে নিষ্ক্রিয় এ কে এম এনায়েত উল্লাহ কালামকে আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাওয়া এক নেতা জানান, কালাম সাহেব বিএনপির প্রবীণ নেতা। মানুষ হিসেবেও ভালো। তবে, দলীয় রাজনীতিতে গত চার-পাঁচ বছর ধরে তিনি নিষ্ক্রিয়। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাংগঠনিকভাবে নাজুক। ঘোষিত কমিটিও প্রত্যাশা অনুযায়ি হয়নি। এতে করে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
তারা আরো বলেন, কমিটিতে অনেক সদস্য রাখা হয়েছে যারা উপজেলা বা থানা কমিটির জন্যও যোগ্য নন। একই সাথে জ্যেষ্ঠতাও লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা মনে করি ময়মনসিংহ উত্তর বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ঘোষিত কমিটির অঙ্গতিও দূর করতে হবে। তা ছাড়া যতই নতুন নতুন কমিটি দেওয়া হোক, যোগ্যদের যোগ্য স্থানে না রাখলে দলে ঐক্যও ফিরবে না, সংগঠনও গতিশীল হবে না। ‘সাইজ’ রাজনীতি পরিহার করতে হবে।
ঘোষিত কমিটির সদস্য করা হয়েছে আবুল বাশার আকন্দ, শাহ নুরুল কবীর শাহীন, আহম্মেদ তাইয়্যেবুর রহমান হিরণ, ইয়াসির খান চৌধুরী, এ্যাড. নুরুল হক, হাফেজ আজিজুল হক, মফিজ উদ্দিন, কামরুজ্জামান লিটন, এমদাদ হোসেন, মামুন বিন আব্দুল মান্নান, লুৎফুল্লাহ হেল মাজেদ বাবু, নাসের খান চৌধুরী, সৈয়দ এনায়েতুর রহমান, ডা. মো. সেলিম, কোয়াছম উদ্দিন, আসলাম মিয়া বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আমজাদ আলী, প্রফেসর জিএম আজহারুল ইসলাম কাজল, হানিফ মো. শাকের উল্লাহ, আবু হাসনাত বদরুল কবির, আরফান আলী, আনিসুর রহমান মানিক, সিদ্দিকুর রহমান, মফিদুল ইসলাম ফকির, আমজাদ সরকার, কুদরত আলী, আব্দুল হেলিম মন্ডল,
আব্দুস সালাম তালুকদার, মোজাম্মেল হক তালুকদার মানিক, আবুল খায়ের বাবুল, এমএ কাদের ভূঁইয়া, এ এফ এম আজিজুল হক পিকুল, আব্দুল হামিদ, আলী আশরাফ, হারুন অর রশিদ, আমিনুল হক মনি, শফিকুল ইসলাম শফি, অ্যাড. আব্দুস সোবহান সুলতান, এস এম দুলাল, সুজিত কুমার দাস, হাবিবুল ইসলাম খান শহিদ, আমিনুল হক, এ কে এম আজিজুল হক রিপন, কাজী আব্দুল বাতেন, মাসুদ রানা খান, অ্যাড. আব্দুস সালাম, আবুল কালাম আজাদ, আলমগীর আলম বিপ্লব, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, সালমান ওমর রুবেল, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, জুলফিকার হায়দার টিপু, অ্যাড. শাহজাহান সাজু, হারুন অর রশিদ, মোফাখারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, আব্দুল আজিজ মন্ডল, কাজী আব্দুস সাত্তার, রফিকুজ্জামান মনির, আবুতাহের সিদ্দীক, আব্দুস সাত্তার, ওসমান গণী ভূঁইয়া (গেনু), মাসুম খান, সম্ভু সন্যাল ও রুহুল আমিন খান।