ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যায় যেখানে যে ক্ষতি হয়েছে, সেখানে সেটা পুষিয়ে দেওয়া হবে।
ত্রাণসামগ্রী সবই পর্যাপ্ত রয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন, সঠিক সময়ে সেখানে তা পৌঁছাতে হবে। মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যার পর কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত
এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা যত সুষ্ঠু হয় এবং সমন্বয় যত ভালো হয়, এর বাস্তবায়ন ততই সহজ হয়। বন্যার এই সময়ে কিশোরগঞ্জে
সুসমন্বয়ের মাধ্যমেই কাজগুলো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কৃষক অনেক কষ্ট করে কোরবানির পশু লালন পালন করেন- এ কথা উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বন্যায় গবাদি পশুর বিশেষ করে কোরবানির
পশুর যেন কোন ধরণের ক্ষতি না হয়, সেদিকে সুদৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি। সরকার সার, বীজসহ কৃষিতে যে প্রণোদনা দিচ্ছে সেটা যথেষ্ট পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সেটা পৌঁছাতে হবে। বন্যার সময় ও বন্যা পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন তিনি। কিশোরগঞ্জে সবক্ষেত্রে যে সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্যা মোকাবিলায় কাজ করা হচ্ছে সে সমন্বয়টুকু বজায় রাখার আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম।
সভায় জেলা প্রশাসক জানান, এবারের বন্যায় জেলার ৬৫ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে হাওর উপজেলাগুলোর ৯০/৯৫ শতাংশ প্লাবিত হয়েছে। ২৫৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৫ হাজার ১৫৫ জনকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মত বিনিময় সভায় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য উপস্থাপন করেন। সভায় বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের আজ বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জের হাওরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।